NEWS

Boney Kapoor-Sridevi: শ্রীদেবীর প্রেমে পড়ে প্রথম স্ত্রী মোনা শৌরিকে ছেড়েছিলেন বনি কাপুর; সবটা কীভাবে সামলেছিলেন অর্জুন? অকপটে জানালেন সে কথা

অভিনেতা বলেন যে, “মা-বাবার যখন বিচ্ছেদ হল, তখন আমার বয়স ১০ বছর। আর সেই সময় আমি বুঝতেও পারিনি, এই ঘটনা আমাকে নতুন মানুষ হিসেবে গড়বে। আর আমায় পুরোপুরি ভাবে বদলে দেবে। কিন্তু এখন যখন পিছন ফিরে তাকাই, দেখি অনেক কিছুই ছিল যা…।” আরও পড়ুন- বলুন দেখি…দেশের কোথায় ‘টাকা’ ছাপানো হয়? ৯৯ শতাংশই জানেন না সঠিক উত্তর ব্যাখ্যা করে অর্জুন বলেন যে, “উদাহরণস্বরূপ আমার বাবা সেই সময় দুটি বড় ছবি ‘প্রেম’ এবং ‘রূপ কি রানি চোরো কা রাজা’ বানানোর কাজে ব্যস্ত ছিলেন। ওই দুটি ছবি শেষ করে মুক্তির অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। তাই আমাদের সাধারণ বাবা-ছেলের সম্পর্ক ছিল না। উনি আমায় স্কুলে দিতে কিংবা নিতে আসতেন না। এমনটা নয় যে, উনি চেষ্টা করেননি, কিন্তু আমি সেটা পাইনি। এরপর আবার মা-বাবার বিচ্ছেদ হয়ে গেল। বিষয়টি বেশ হতাশাজনকই ছিল আমার জন্য।” আরও পড়ুন- একঘরে ৩ জন! ২ স্বামীকে একসঙ্গে কী ভাবে সামলান? শান্তভাবে স্ত্রী বললেন, ‘আমি ঠিক…’! আরও পড়ুন- বলুন তো, ভারতে সবচেয়ে বেশি ‘আমিষ’ খায় কোন রাজ্যের মানুষ? ‘উত্তর’ আপনাকে চমকে দিতে বাধ্য বাবা-ছেলে সম্পর্কের প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন যে, “বর্তমানে বাবার সঙ্গে আমার আলাদাই সম্পর্ক। আমি এখন তাঁর সঙ্গে প্রচুর সময় কাটাই। কিন্তু আমার বয়স এখন ৩৯। বিগত ৫ বছর ধরে আরও বেশি সময় কাটিয়েছি তাঁর সঙ্গে। আর এমতাবস্থায় আমাদের সম্পর্কটা জুড়ে গিয়েছে আবারও।” তবে মা-বাবার বিচ্ছেদের বিষয়ে অর্জুন বলেন, “আমার শৈশবটা বেশ অন্যরকম ছিল। খুব দ্রুত বড় বয়ে গিয়েছিলাম আমি। বুঝেছিলাম যে, আমাকে দায়িত্ববান এবং ভাল মানুষ হতে হবে। কারণ আমি জানতাম যে, কী চলছিল। আবার বিষয়টা হাই-প্রোফাইল ছিল কারণ আমার বাবা খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব ছিলাম। আমাদের পরিবারকেও সকলে চিনতেন। তবে এর জন্য আমায় নরকযন্ত্রণা ভুগতে হয়েছিল, তেমনটা নয়। সব কিছু সামলে চলছিলাম। বাবার পরিবারও ছিল আর বাবাও ছিলেন।” মা-বাবার বিচ্ছেদ কীভাবে সামলেছেন, “তা নিয়ে অর্জুন বলেন, একটা বাচ্চা ছেলে, যার পাঁচ বছরের ছোট একটা বোন আর মা রয়েছে, আবার বাবা ভালবাসতেন অথচ সঙ্গে থাকতে পারছেন না, সেই বাচ্চাটিকে অনেক কিছু সামলাতে হয়েছে। পরিস্থিতি এমনই ছিল। সেই সময় থেকে খুঁজে খুঁজে ছবি দেখতাম। এভাবেই বাবার সঙ্গে একটা যোগসূত্র তৈরি করতাম। আর সেই সূত্রটা হারাইনি।” সব শেষে অর্জুন বলেন, “প্রথমে নজর কাড়ার চেষ্টা করতাম। কিন্তু আমি বললাম যে, আমি দায়িত্ববান। আরও সচেতন হলাম। সময়ের তুলনায় আরও পরিণত হলাম। কারণ বাবার সঙ্গে যোগসূত্র ছিন্ন হোক, সেটা চাইনি। তাই প্রচেষ্টা করে গিয়েছি। বাবা যা করছেন, তা নিয়ে তিনি আনন্দিত ছিলেন, এটা নিয়ে আমার সমস্যা ছিল না। যদি সমস্যা থাকতও, তা সত্ত্বেও আমি আমার নিজের মনকে তৈরি করে নিয়েছিলাম। যা হয়ে গিয়েছে.. তা হয়ে গিয়েছে..।” None

About Us

Get our latest news in multiple languages with just one click. We are using highly optimized algorithms to bring you hoax-free news from various sources in India.