NEWS

Bengali in Antarctica Expedition: তিস্তাপারের শহর থেকে কুমেরুতে! অ্যান্টার্কটিকায় ৪০০ দিন কাটালেন তরুণ বাঙালি ভূবিজ্ঞানী

শুধু জলপাইগুড়ি নয়, পুরো বাংলার জন্যে এ এক গর্বের বিষয়,সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রীতম চক্রবর্তীর শৈশব কেটেছে তিস্তাপারের শহরে। শিক্ষা শুরু ফণীন্দ্র দেব বিদ্যালয় থেকে, ছোটবেলায় সাদা বরফে ঢাকা কুমেরুর ছবি দেখে তাঁর মনে ইচ্ছে হত যদি একবার সেখানে পৌঁছনো যায়! অবশেষে শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করে চাকরি জীবনে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই সেই ইচ্ছে যেন অর্ধেক পূরণ হওয়ার ছবি ভেসে ওঠে চোখের সামনে। ইসরো থেকে বিগত কয়েক বছরে নিজেকে আরও অনেকটাই শানিত করেন বিজ্ঞানী প্রীতম চক্রবর্তী । অবশেষে শৈশবের স্বপ্ন পূরণের সুযোগ আসে ২০২৩ সালে,নিজের ডিপার্টমেন্ট ইন্ডিয়ান মেটেরোলজি দফতর আরও অন্যান্যদের সঙ্গে প্রীতম চক্রবর্তীকে যুক্ত করে ৪৩ তম কুমেরু বা আন্টার্কটিকা অভিযানে। ২০২৩ সালে অন্যান্য বিজ্ঞানীদের সঙ্গে একজন বৈজ্ঞানিক সহায়ক হিসেবে সুমেরুর বিপরীত কুমেরুতে পা রাখেন জলপাইগুড়ির এই কৃতী সন্তান। আরও পড়ুন : ৫০ বছর ধরে ডায়াবেটিক হওয়ার উদযাপন! অভিনব পিকনিকে ভূরিভোজে মধুমেহ রোগীদের সঙ্গে মাতলেন গৃহশিক্ষক সেখানকার ওজোন স্তরের বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ করাই ছিল এই অভিযানের অন্যতম লক্ষ্য বলে জানান ভূবিজ্ঞানী প্রীতম চক্রবর্তী। ৪০০ দিন কাটিয়ে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে জলপাইগুড়ি তে নিজের কর্মস্থল ইন্ডিয়ান মেটেরোলজি অফিস ফিরে আসেন প্রীতম চক্রবর্তী। দীর্ঘ ৪০০ দিনের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি জানান, ছোটবেলায় ছবিতে দেখা পেঙ্গুইনের ছবির সঙ্গে বাস্তবে সেই স্থানে দাঁড়িয়েই সামনে থেকে ওদের দেখা-এক অনবদ্য ঘটনা। তবে অভিযান প্রসঙ্গে খুব বেশি তথ্য প্রকাশ্যে না আনলেও জলপাইগুড়ির এই কৃতী সন্তানের স্বপ্ন পূরণের খবরে যে আগামী প্রজন্মের আরও অনেকই এমন স্বপ্ন দেখার সাহস পাবে, সেটা নিশ্চিত। None

About Us

Get our latest news in multiple languages with just one click. We are using highly optimized algorithms to bring you hoax-free news from various sources in India.